October 18, 2025, 6:07 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
এইচএসসিতে ইংরেজি: দুর্বল ভিত্তি থেকে ফল বিপর্যয় জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা উল্লেখ আছে ছেঁউড়িয়ায় ফকির লালন শাহের ১৩৫তম তিরোধান দিবসের ৩ দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন চাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের ২৪টিতেই ছাত্রশিবিরের জয় রাকসু নির্বাচন/ ২৩ পদের ২০টিতে শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের জয় আওয়ামী আমলের প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠা তিন অভিযোগ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদক সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষাও স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত স্পিরিট পান করে ৬ জনের মৃত্যু, ৩ জন হাসপাতালে দৌলতদিয়া/ ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ হওয়া ঘাট ৩ ঘন্টা পর স্বাভাবিক অনলাইন জুয়া সম্রাট লিপু সহযোগীসহ সাতক্ষীরায় গ্রেপ্তার, মেহেরপুরে আনা হবে, এসপি

কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ফের ভাঙন

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
গড়াই নদীতে শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে।
রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সংযোগ সড়কসহ বাঁধের ৪৮ মিটার নদীগর্ভে চলে যায়। সেতুর কাছে ২০০ মিটার ভাটিতে এ ভাঙনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
তাদের অভিযোগ, ১০ মাস আগে এই বাঁধে ধস দেখা দিলেও বর্ষার আগে মেরামত করা হয়নি। এ কারণে বাঁধে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেতু ও প্রতিরক্ষা বাঁধের নির্মাতা ও তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান এলজিইডির প্রকৌশলী ও সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা  ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং  দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
গড়াই নদীর ওপর শতকোটি টাকায় নির্মিত শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ২০১৭ সালে। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম ধস দেখা দেয় এই সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে। ওই সময় সেতুর উজানে ও ভাটিতে তিনটি পয়েন্টে ধস দেখা দেয়। নদীতে চলে যায় আড়াই থেকে তিন হাজার ব্লক।
ওই ধসের পর ঢাকা থেকে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের মেইনটেনেন্স সেল থেকে প্রকৌশলীরা সেখানে যান। তারা কুষ্টিয়া এলজিইডির প্রকৌশলীদের বাঁধ মেরামতের প্রাক্কলন করে পাঠাতে বলেন।
কুষ্টিয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মণ্ডল এ বিষয়ে জানান, গত মে মাসে প্রাক্কলন প্রস্তাব পাঠানো হয়, কিন্তু তা অনুমোদন না হওয়ায় কাজ করা যায়নি।
বর্ষা মৌসুমের আগে মেরামত না করায় নদীতে পানি বেড়ে ধসের জায়গা নিচে চলে গেছে। এতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনের কারণে নদীর পাড়ে সাত্তার মিয়া নামে একজনের বসতঘর যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। সাত্তার বলেন, ‘বাড়িটিই মনে হচ্ছে সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু যাব কোথায়? ধসের জায়গাটি ঠিক করা গেলে এখন এই বিপদ হতো না।’
স্থানীয় বাসিন্দা কোরবান মন্ডল জানান, এসব জায়গায় ব্লক ধসে গেলে সেতুর নিচেও যেতে পারে। তাই এখনই সতর্ক থাকা উচিত।
বেসরকারি ফার্মে কাজ করা প্রকৌশলী এম হাফিজ অভি বলেন, ‘আগেই আমরা এমন আশঙ্কার কথা মিডিয়াতে বলেছিলাম। এখন দ্রুত উদ্যোগ না নিলে হরিপুর জনপদের এবং রাসেল সেতুর ক্ষতি হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি ব্লক আরেকটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। একটি আলগা হয়ে গেলে তা মেরামত করা না হলে অন্যগুলো টিকিয়ে রাখা যায় না।’
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা অফিস থেকে বরাদ্দ না দিলে এত বড় ভাঙন মেরামত করা সম্ভব নয়।’
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, ‘যেকোনোভাবেই এটি প্রতিরোধে উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো দপ্তরে জিও ব্যাগ মজুত আছে কি না তা দেখে এখানে ফেলা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net